It reduce the amount of fish feed through proper management, fish feed cost, environmental pollution and farm management cost through reducing the farm labour. It also increase the fish farm productivity and income.
বর্তমান সময়ে মৎস্যখাতে সবচেয়ে যুগান্তকারী ও কর্যকরী প্রযুক্তি হচ্ছে Automatic Fish Feeder যাকে অনেকেই স্মার্ট ফিশ ফিডার, ই-ফিশ ফিডার বা ই-ফিশারি বলে অবহিত করছেন। যা আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী নিজে নিজেই পুকুরে খাবার প্রয়োগ করবে। মাছ চাষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিষয় হলো মাছের কৃত্রিম খাবার। খাবারের দাম অনেক বেশি হওয়ায় চাষিরা প্রায় অর্থিক সংকটে পরেন। প্রতিদিন ২ বার খাবার প্রয়োগের সময় ওজন করে পরিমিত পরিমান খাবার দেওয়ার কথা থাকলেও প্রায়শই তারা অনুমান করে খাবার প্রয়োগ করে থাকে। ফলে কখনও খাবারের স্বল্পতা আবার কখনও অধিক খাবার প্রয়োগের কারণে তা নষ্ট হয়ে পানি দূষিত করে যাওয়ার ধরুন বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাসের পরিমান বৃদ্ধি পায় এবং মাছের কাঙিক্ষত বৃদ্ধি ব্যহত হয় এমনকি মাছের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে! Automatic Fish Feeder ব্যবহারের ফলে আর পুকুরের পাড়ে গিয়ে খাবার দেওয়ার প্রয়োজন নেই। মাছের খাবার দেওয়ার সময় ও খাবারের সঠিক পরিমাণ স্মার্ট ডিভাইসের মাধ্যমে দেশের যে কোন প্রান্তে বসে আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। কত সময় ধরে কতটুকুন খাবার দেওয়া হয়েছে তারও হিসাব চলে আসবে আপনার ডিভাইসে। প্রতিদিন, প্রতিমাসে, প্রতি বছরে কোন পুকুরে কতটুকু খাবার দেওয়া হয়েছে তা আপনি সহজেই সফ্টওয়ারের মাধ্যমে দেখতে পারবেন এবং মোট খাবারের পরিমান বের করতে পারেন। পুকুরের খাবারের অপচয় এবং মানষ্যসৃষ্টি অন্য কোন অসততা থেকে সহজেই আপনি মুক্তি পেতে পারেন সহজেই।
আমেরিকা, চায়না এবং ইন্দোনেশিয়ায়সহ বিভিন্ন দেশের তৈরী এই মেশিনগুলো ফিশফার্ম অটোমেশনে ব্যবহ্রত হচ্ছে। এ্যাকোয় বাংলা (Aqua Bangla) চীনের তৈরি মেশিন বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার ধারা কিছুটা
উৎকর্ষ সাধন করে ময়মনসিংয়ের রুপালী মৎস্য হ্যাচারী, চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের মেরেডিয়ান মৎস্য খামার, নরসিংদী, নেত্রকোনা, শরীয়তপুর এবং চাপাই নবাবগঞ্জের কয়েকটি খামারে স্থাপন করেছেন। সেখানকার খামারিরা মেশিনটি ব্যবহার করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। “জাতীয় মৎস্য পুরস্কার ২০১৬ এবং স্বর্ণপদক” প্রাপ্ত রুপালী হ্যাচারীর মালিক আলহাজ্ব মোঃ আহাম্মদ আলী তার প্রতিষ্ঠানে ই-ফিশ ফিডার ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, আগে আমরা কোন পুকুরে কতটুকু খাবার দিতাম তার কোন হিসাব ছিলনা। এই মেশিনটি ব্যবহার করার ফলে সহজেই খাবারের হিসাব রাখতে পারছি। তাছাড়া খাবার অনেক কম নষ্ট হচ্ছে, লেবার খরচ কম লাগছে, সর্বোপরি আমরা উপকৃত হচ্ছি।
সাধারণত চিংড়ি, তেলাপিয়া, কার্প- জাতীয় মিশ্রচাষ এবং ক্যাট ফিশের ফার্মে এই মেশিন ব্যবহার করা হয়। মাছ চাষের ক্ষেত্রে মাছের খাবার ব্যয়কে সবচেয়ে বড় ব্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয় তা প্রায় মোট ব্যয়ের ৬০-৮০ শতাংশ। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেশষ করে দেখা গেছে এ মেশিন ব্যবহারে খামারিদেরে মাছের খাবারের ব্যয় প্রায় ২০-২৫ % (শতাংশ) কম হয়।
ব্যবহারে সুবিদা
মেশিনটি সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
জিএসম/এনড্রয়েড স্মার্ট ভিত্তিক কন্ট্রোলিং সিস্টেম।
ম্যানেজম্যান্ট প্রতিবন্ধকতা দূর এবং শ্রমিক নির্ভরতা কমায়।
মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি করে খামারের আয় বাড়াতে সাহায্য করে।
খাবার প্রদানের হার বাড়ায়, সময় এবং পরিমান নিয়ন্ত্রন করে।
খাবারের অপচয় দূর করে এবং শ্রমিক ব্যয় কমাতে সাহায্য করে।
অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ এবং মাছের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে ।
পানি দূষন হ্রাস করে পানির গুনাগুন ঠিক রেখে মাছ ও চিংড়িকে রোগবলাই মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
খাবারের পরিমান ও সময়সহ সকল তথ্য সংরক্ষন করে এবং ব্যবহারকারী ইচ্ছে অনুযায়ী তথ্য প্রদান করে।
সহজেই ব্যবহার করা যায়।
+ There are no comments
Add yours